Menu

ভূমিকাঃ
বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় আমাদের উঠতি বয়সের বাচ্চারা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বললেই চলে অথচ আজকের শিশুরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ; তাদের ওপরেই নির্ভর করবে একটা পরিবার, সমাজ এবং গোটা জাতি আর সে সন্তানরা যদি বিপথে চলে যায় তাহলে পিতা-মাতার দুঃখের সীমা থাকবে না এবং এতে করে সমাজে বিরাজ করবে অশান্তি পক্ষান্তরে যে সন্তান নৈতিক শিক্ষা লাভ করে নিজেকে নীতি-আদর্শের মাধ্যমে বড় করে তুলবে সে সন্তান তার পিতা-মাতাকেই আগে সেবা দিয়ে সুখে রাখবে একজন নীতি আদর্শগত সন্তান সে অপকর্ম বা অপরাধকে সব সময় ঘৃণার চোখে দেখবে এবং অপরকেও বিপথে যেতে বারণ করবে এভাবেই সমাজে শান্তি বিরাজ করবে যেখানে থাকবে ভদ্রতা, নম্রতা, বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা ছোটদের প্রতি স্নেহ ভালোবাসা এবং থাকবে জ্ঞানের চর্চা এইভাবে নৈতিক বা ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে উঠবে একটা শৃংখলাবদ্ধ সুশীল সমাজ
এ যুগে এসে দেখা যায়, বস্তুগত দিক দিয়ে পৃথিবী খুব দ্রুত উন্নতির দিকে যাচ্ছে পৃথিবী জয় করে মানুষ আজ অন্য গ্রহে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে বিজ্ঞানের সফলতা মানুষকে অনেক দূর নিয়ে গেছে যা কিনা অস্বীকার করার মত নয় বর্তমান বিশ্বকে বলা হচ্ছে (Materialistic World) বস্তুবাদী বিশ্ব এক কথায় পৃথিবীর বাস্তব পরিস্থিতি মানুষকে বেঁচে থাকার তাগিদে জীবন-যুদ্ধে প্রতিযোগীতায় নামতে বাধ্য করেছে অর্থ, সম্পদ ক্ষমতার লোভে মানুষ আজ অতি সহজে বিপথে পরিচালিত হচ্ছে অন্যদিকে যুব সম্প্রদায় ধাবিত হচ্ছে অসামাজিক কাজে ধর্ম বা নৈতিক জ্ঞান না থাকলে যা হয়ে থাকে তার সবই হচ্ছে এহেন পরিস্থিতিকে কিছুটা অন্তত মোকাবিলা করে এবং উঠতি বয়সের শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ সুন্দর, সুখী একটি আদর্শবান সমাজ গঠন করার লক্ষ্যে কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চলে বৌদ্ধ শিশু-কিশোরদের মধ্যে ভগবান বুদ্ধের পঞ্চনীতি বা পঞ্চশীল শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা মনে করে ভদন্ত সুগতপ্রিয় থের মহোদয় এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন

ফাউন্ডেশনের আদর্শ:
এটি একটি সামাজিক কল্যাণমূলক, অলাভ জনক, ধর্মীয় অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান

উদ্দেশ্য: 
. শিশুদের নৈতিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ সৃষ্টি করা
. মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করে পড়ালেখায় উৎসাহ প্রদান করা
. সকল শ্রেণীর মানুষকে মেডিটেশন বা ভাবনা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের মনকে সংযত করা
৪. চাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী সহায়তা করা।