কতঞ্ঞূ-কতবেদিতা (গুরু পূজা)
পরমারাধ্য গুরুদেব দশম সংঘরাজ পন্ডিত জোতিঃপাল মহাথের তঁর প্রাণের প্রতিষ্ঠান বরইগাঁও কনকচৈত্য বিহার। এই বিহারটি সাধারণ একটা বিহার নয়। বলা চলে এটি একটি মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান। কারন হচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে তিনি এখানে প্রতিষ্ঠা করেছেন স্কুল, অনাথ আশ্রম ও বহুমুখী সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প । বলা বাহুল্য যে তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে শুধু বৌদ্ধ নয়, হিন্দু, মুসলিম অনেক দরিদ্র এবং মেধাবী ছাত্ররা শিক্ষা লাভ করে আজ সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন এবং বর্তমানে তাদের একটা অংশ সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাও আছেন । সমাজের মানুষ একযোগে স্বীকার করেন যে তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্হাপনা তিনি লোকজন নিয়ে নিজ হাতেই করেছেন । তখনকার সময়ে রড বা লোহা পাওয়া খুব কঠিন ছিল এবং ব্যয়বহুলও। তাই তিনি বাঁশ এবং রডের সমন্বয়ে তখনকার স্হাপনাগুলো নির্মাণ করেন। বরইগাঁও মূল বিহারটি ছিল সুউচ্চ চৈত্য বিশিষ্ট এবং নিচের তলায় সকাল-সন্ধ্যা বন্দনা করা হতো । কয়েক দশকের মূল বিহারটি জরাজীর্ণ হলে তা নিরাপত্তার কারণে ভেঙে ফেলা হয় । অতঃপর দীর্ঘদিন ডাইনিং রুমে বুদ্ধমূর্তিগুলো রেখে ধর্মীয় কার্যক্রম চলতো। অর্থের অভাবে গ্রামবাসী নতুন বিহার নির্মাণ করতে পারছে না এইভাবেই কেটে গেল কয়েক বছর । ভদন্ত সুগতপ্রিয় থের তিনি ছোট কাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানে থেকে এস এস সি পাশ করেন। এবং পরে গুরুদেবের সান্নিধ্যে চট্টগ্রাম চলে যান। বরইগাঁও বিহারের এই করুণ অবস্থা তাঁর আর সহ্য হয়নি নেমে পরলেন গুরুদেবের বিহার পূনঃনির্মানে। অতঃপর তাঁর থাইল্যান্ডের ভক্ত উপাসিকার অর্থায়নে তিনি বিহারটি বড় আকারে পূনঃনির্মাণ করেন যেন অনেক লোক এক সাথে ভাবনা করতে পারেন । এবং উপাসিকার নামেই নামকরণ করা হয় পীরনুছ মেডিটেশন হল।
গ্যালারীঃ বরইগাঁও নতুন বিহার |